বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
একুশে ডেস্ক:
ঋণপত্র বা এলসির দেনা পরিশোধে রপ্তানি আয়ের ডলার এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় মহাবিপাকে পড়েছেন বড় রপ্তানিকারকরা। এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে ডলার স্থানান্তর করতে না পারায় এলসির দেনা পরিশোধ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এতে রপ্তানিকারকের কোনো কোম্পানির নামে এক ব্যাংকে থাকা ডলার দিয়ে অন্য ব্যাংকে একই রপ্তানিকারকের অন্য কোনো এলসির দেনা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। সংকটের কারণে অন্য কোনো ব্যাংক থেকে ডলার কিনে দেনা শোধ করার মতো পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রাও বাজারে নেই। এদিকে নির্ধারিত সময়ে দেনা শোধ করতে না পারায় একদিকে ব্যাংকের দুর্নাম হচ্ছে, অন্যদিকে গ্রাহকেরও দুর্নাম হচ্ছে।
ঋণের বিপরীতে বাড়তি সুদ পরোক্ষভাবে রপ্তানিকারককেই দিতে হচ্ছে। এতে রপ্তানিকারকরা দুইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একদিকে সময়মতো দেনা শোধ না করায় দুর্নাম হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়তি সুদ দিতে হচ্ছে। ফলে রপ্তানি পণ্যেও উৎপাদন খরচ বাড়বে। এতে বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমবে। যা ক্ষতিগ্রস্ত করবে দেশের অর্থনীতিকে।
এছাড়া রপ্তানিকারকরা ডলার ৩০ দিনের বেশি ধরে রাখতে পারছেন না। নিজ কোম্পানির রপ্তানির মাধ্যমে অর্জিত ডলার ৩০ দিনের মধ্যে ব্যবহার না করলে ব্যাংক নগদায়ন (গ্রাহকের টাকা দিয়ে সমপরিমাণ ডলার নিয়ে যাচ্ছে) করে নিচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের (৩০ দিন) পর সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক এলসি খুলতে গেলে বাজার থেকে ডলার কিনতে হচ্ছে। কিন্তু সংকটের কারণে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী ডলার পাওয়া যায় না। ফলে এলসি খোলাও বাধাগ্রস্ত হয়। এতে বিশেষ করে রপ্তানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।